রাজিয়া সুলতানাঃ
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালের রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পানির পাম্প বিকল হওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তবে দ্রুত পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একমাত্র পানির উৎস বড় পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বাইরে থেকে খাবার পানি কিনে এনে খেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনের ট্যাপ থেকে পানি পড়ছে না। এতে শৌচাগারে পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালের মেঝেতে জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ। টয়লেট, গোসল, মেঝে পরিষ্কার এবং রোগীদের বিছানার চাদর থালা-বাসন ধোয়াসহ অন্যান্য কাজে পানি না পেয়ে তাদের কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। বহির্বিভাগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
৭০০কোটি টাকা ব্যায়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও পানির পাম্প অকেজো হয়ে গেছে।
এদিকে পানি সংকটের মধ্যে দিয়ে আবার দেখা দিয়েছে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং। এখন পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে হাসপাতালটি। এতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড ও কেবিনে রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৫ দিন যাবত পানি নেই। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হয়ে যাবে।
Leave a Reply