গোপালগঞ্জের এক বর্ষিয়ান রাজনীতির নেতার নাম আলহাজ্ব শেখ মো: রুহুল আমীন

রাজিয়া সুলতানা:
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমীন। ১৯৩৮ সালের ২৪ মার্চ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান ও মা প্রয়াত আকিমুন্নেছার ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পাকিস্তান আমলে তিনি এইচএসসি পাস করেন। আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমীনের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ১৯৬৪ সালে। সে সময় তিনি পাকিস্তানির বিডি মেম্বার থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে তাকে গোপালগঞ্জ আওয়ামীলীগ অফিসের দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব দেন। তখন থেকেই তিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে তার নির্দেশিত সকল আন্দলোনের কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধায় অংশগ্রহন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মহকুমা আওয়ামীলীগ ও পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে বিভিন্ন আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন।

এই বর্ষিয়ান নেতা বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমাজ কল্যান পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও গোপালগঞ্জ মুসলিম এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, ফকিরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও নবাবপুর ইলেকট্রিক এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। এখনও দিনের বেশির ভাগ সময় আওয়ামী রাজনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন।

আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমীন এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালের পাকিস্তানি আমলের বিডি মেম্বার ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমি আওয়ামীলীগে যোগ দেই। আমি স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার আহবানে প্রতিটি কর্মসূচী বাস্তবায়নে সক্রিয় ভাবে আত্মনিয়োগ করি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বদলা নিতে রাজপথে সোচ্চার ও আন্দোলন সংগ্রামে একজন নির্বিক সৈনিক ছিলাম। পরবর্তীতে সৈরাচারী আন্দোলনে রাজপথে শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করি ও নেতৃত্ব প্রদান করি। ১৯৯০ সালের গন আন্দোলন ও ১৫ ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করতে সৈরাশাসকের হাতে নির্যাতিত হই। বর্তমানেও আওয়ামীলীগের নির্দেশিত সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করছি। আগামীতে জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের বার বার নির্বাচিত এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এর সহযোগীতা নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*