রাজিয়া সুলতানাঃ
বাজারের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে গোপালগঞ্জে বসানো হয়েছে “কালেক্টর বাজার”। আর এই বাজারে ন্যায্যমূল্যে পন্য কেনার জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় পড়েছে। লাইন দিয়ে কম দামে পন্য কিনে সাধারন ক্রেতারা খুশি। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মিরা একত্রিত হয়ে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই কালেক্টর বাজারে পন্য বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশেই এই কালেক্টর বাজার বসানো হয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের দাম জনসাধারণের সাধ্যের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে পন্য বিক্রির জন্য গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বসানো হয়েছে কালেক্টর বাজার। যেখানে বাজারের তুলনায় সুলভ মূল্যে পন্য পাচ্ছেন ক্রেতারা। গোপালগঞ্জ মাংস বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করা “কালেক্টর বাজারে” গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৬০টাকা কেজি দরে। তরমুজ বিক্রি হচ্ছে পিচ হিসাবে। যদি কেজি হিসাবে ধরা হয়, তাহলে সেই তরমুজের দাম পড়বে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। আর সাধারন ব্যবসায়ীরা জেলা শহর ছাড়াও উপজেলার বাজার গুলোতে বিক্রি করছেন ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কালেক্টর বাজারে আরও পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমী ফল সহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ। বাজারের ব্যাবসায়ীদের থেকে কম মূল্যে পন্য পাচ্ছেন ক্রেতা। তাই “কালেক্টর বাজারে” ক্রেতা-সাধারনের ভীড় সারাদিন লেগেই আছে।
এদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পন্য বিক্রি করায় ইতোমধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরাও দাম কমিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় বাজারের তুলনায় কালেক্টর বাজার থেকে কম মূল্যে পন্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, অতি মোনাফা লোভী ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা “কালেক্টর বাজার” বসিয়েছি। যেখানে সরকারি ন্যায্যমূল্যে পন্য বিক্রি হচ্ছে। পুরো জেলায় এই “কালেক্টর বাজার” তৈরী করে পন্য বিক্রি করা হবে। স্থানীয় বাজারে এই প্রভাব পড়বে। এতে অতি মোনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা কম লাভ করে জনসাধারনকে একটু স্বস্তি দেবেন।
Leave a Reply