গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জে বাবা-মায়ের কলহের জের ধরে ছোট বোন হালিমা খাতুন (১৩) কে গলা কেটে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে তার বড় ভাই সিফাতউল্লাহ। আজ সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সিফাতউল্লাহ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিফাতুল্লাহ শর্সীনা মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নিহাদ আদনান তাইয়ান।
এর আগে মঙ্গলাবার (৮ মার্চ) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।এর জের ধরে স্বামীর উপর অভিমান করে স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। অপরদিকে, স্বামী জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে ভাই সিফাতুল্লাহ ও বোন হালিমা খাতুনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় । কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিফাতউল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট বোন হালিমা খাতুনের গলা কেটে হত্যা করে।পরে সিফাতুল্লাহ পালিয়ে যায়।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখছি। হালিমা খাতুনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেলে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
Leave a Reply