গোপালগঞ্জে কুলে কপাল খুলছে শিক্ষিত বেকার যুবকদের

রাজিয়া সুলতানা :
পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় ফল কুল। গোপালগঞ্জে এ কুলের আবাদ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে। গ্রামাঞ্চলের চাষীরা ছাড়াও বেকার যুবকরা এ কুল চাষে ঝুঁকছে। বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হচ্ছে মাঠের পর মাঠ। পরিত্যক্ত জমিতে কুল চাষ করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন তারা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় যতই দিন যাচ্ছে কুলের আবাদ ততই বাড়ছে।তা প্রমাণ করছেন এই শিক্ষিত বেকার যুবকরাই।
গোপালগঞ্জ জেলার ৫ টি উপজেলার পল্লীতে বাণিজ্যিকভাবে আবাদ হচ্ছে হাইব্রিড জাতের কুল। মচমচে, রসালো, টক মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল হিসেবে বাউকুল ও আপেল কুলের কোন তুলনা নেই। ভালো দাম ও ব্যাপক চাহিদার কারণে গোপালগঞ্জ কুল চাষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে লাভজনক সুস্বাদু ফল কুল চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে বেকার যুবকরা। দৃষ্টিনন্দন, সুস্বাদু বাউ ও আপেল কুলে এবারও ছেয়েছে । অনাবাদী জমি, বসতবাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন মাঠে শুধু কুলের গাছ। কোথাও কোথাও এসব গাছে ফুল থেকে ফল ইতোমধ্যে বড় বড় হয়ে উঠেছে। বেকার ও দারিদ্র জনগোষ্ঠির মানুষ এবং প্রান্তিক চাষীরা ব্যাপক ফলনশীল কুলের আবাদ করে অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় তাকিয়ে রয়েছে। শীত মৌসুমের অন্যতম এ দেশী ফসলের দিকে। কিছুদিনের মধ্যেই এ ফল ছড়িয়ে যাবে হাটবাজারে। কুল চাষে ভালো সফলতা পাওয়ায় বেকার শিক্ষিত যুবকরা কুল চাষের দিকে ঝুঁকছে। এ কুল চাষের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
দেশি ফল হিসেবে বরইয়ের চাহিদা সব সময়ই তাই থাকে তুঙ্গে। আপেল কুল, বাউকুলসহ কয়েকটি জাতের কুল চাষ করছেন ।মাত্র চার মাসের ফসল। বছরে ফলন পাওয়া যায় তিনবার। এতেই কৃষকের ঘরে ঢোকে লাখ লাখ টাকা। বিশেষ করে লাভ বেশি হওয়ায় বেকার যুবকরা এখন কুল চাষে ঝুকেছেন৷ তাই বছর বছর বাগান বাড়ছেই। কুলে কপাল খুলছে বেকার যুবকদের । কুলেই জীবন বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

জেলা কৃষি অফিসার ড.অরবিন্দু কুমার রায় জানিয়েছে, এ জেলায় চলতি মৌসুমে এক হাজার ৪ শত ২৫ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। গোপালগঞ্জে এ কুলের আবাদ হচ্ছে বাণিজ্যিকভিত্তিতে । কম খরচে লাভ অনেক। এ কারনের বেকার যুবকরা এদিকে ঝুঁকছে।

সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এ কুলের আবাদ করলে চাষীরা একদিন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, অপরদিকে পুষ্টিকর ফলের চাহিদাও পূরণ হবে। দারিদ্র বিমোচনে বিরাট অবদান রাখবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*