রাজিয়া আক্তার :
গোপালগঞ্জে চলতি মৌসুমে ময়নামতি শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। ক্ষেত থেকে শসা তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা। ক্ষেতে সারি সারি শসা ঝুলছে।
গোপালগঞ্জে শীত-গ্রীষ্ম দুই মৌসুমে ময়নামতি শসার আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে জেলায় ৫০ হেক্টর জমিতেময়নামতি শসার আবাদ হয়ছে । ফসলের মাঠে সারি সারি শোভা পাচ্ছে এই শসা। ক্ষেত পরিচর্যা ও শসা তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বেসরকারি বীজ কোম্পানী এ আর মালিক সীডস জাপান থেকে আমদানী করে কৃষকের মাঝে বিতরন করছেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ও সদর উপজেলায় রঘুনাথপুর গ্রামে ময়নামতি শসার আবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মতো বীজ রোপণ ও সুষম সারের ব্যবহারের ফলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ময়না মতি শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার দর বেশি হওয়ায় খুশি কৃষক। তাছাড়া লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন ময়নামতি শসা চাষেও আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা।ফসলের মাঠে সারি সারি শোভা পাচ্ছে শসা। জেলার কৃষকরা ময়না মতি জাতের শসার বীজ রোপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল পেতে শুরু করেন। বাজারে শসার চাহিদা বেশি হওয়ায় চলতি মৌসুমে প্রতি মণ শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। কুষক হরে কৃষ্ণ বাগচি জানান এই ময়নামতি শশা চাষ করে আমি অনেক লাভবান, এর ফলন অনেক ভাল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড.অরবিন্দু কুমার রায়, জানান, ময়নামতি জাতের শসার চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষক। ফলে এ অঞ্চলে দিন দিন শসার উৎপাদন বাড়ছে।
ময়নামতি শসা ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন, এ আর মালিক সীডস্ প্রা: লি: এর এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জয় পাল, মার্কেটিং ডেভলপমেন্ট অফিসার ফিরোজ সরদার।
Leave a Reply