রাজিয়া সুলতানাঃ
‘নিজে জানুন, অন্যকে জানান, প্রতিরোধের এখনই সময়’ প্রতিপাদ্যে ১৮-২৪ নভেম্বর বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে গোপালগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ‘জয়ধ্বনি’ সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করে সিডিসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাইরাল হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী রোগ নিয়ন্ত্রন বিভাগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা: মো: মাসুদ রানা, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক তুহিন কান্তি ঘোষ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা: সাকিবুর রহমান, ডা: দিবাকর বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান, গোপালগঞ্জ ঔষধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক বীথি রানী মন্ডল, দৈনিক বর্তমান গোপালগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ও বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শেখ মোস্তফা জামান, পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ শাহীনুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: মো: মাসুদ রানা বলেন, বিশ্ব বিভিন্ন সময়ে যে সব মহামারি কিংবা ভাইরাস দেখা দিচ্ছে, তা প্রতিরোধে গবেষকরা প্রতিষেধক তৈরী করছেন। আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। কারণ কোন ধরণের চিকিৎসাপত্র কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছি। সামান্য অসুস্থতার কারণে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করছি। যার কারণে এই এন্টিবায়োটিক শরীরে রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে অন্য কোন ওষুধ কাজ করে না। অর্থাৎ এইডস্ রোগে আক্রান্ত হলে যেমন মানুষের অন্য কোন ওষুধ কাজ করে না। যার ফলে সামান্য অসুস্থতায় অনেকেই মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে বলছি অনেক শিক্ষিত মানুষই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ সেবন করেন। অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক সেবনের ফলে আপনার শরীরে যদি বেকটেরিয়া তৈরী হয়ে যায় এবং ওই বেকটেরিয়ায় যদি আপনি আক্রান্ত হন, তাহলে আপনার মৃত্যু নিশ্চিত। সকলের নিকট আমার অনুরোধ সব পেশায়ই ভালমন্দ লোক আছে। চিকিৎসক যে ব্যবস্থাপত্র দেয়, তাতে অনেক ঔষধই লিখেন। কিন্তু ভিটামিন জাতীয় যে ঔষধগুলো আছে, সেগুলো না খেয়ে দেশীয় ফলফলাদি খেলেই ভাল হয়। এ ক্ষেত্রে যারা ফার্মেসীতে ওষুধ বিক্রি করেন, তারাও লোকজনকে দেশীয় শাকসব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
যুগ এগিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবন যাত্রার মান এগিয়ে নিতে হচ্ছে। শুধুমাত্র ঔষধই নয়, আমাদের সকল ক্ষেত্রে কাজের গুনগত মান বৃদ্ধি করতে হবে।
Leave a Reply