গোপালগঞ্জে আইডিইবি’র দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জ:
কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির প্রয়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের যুক্তিহীন বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে আইডিইবি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইডিইবি গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো: আব্দুল হালিম খান।

এ সময় অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আইডিইবি গোপালগঞ্জ জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক আতিয়ার রাসুল (হিমেল), সদস্য মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী, রেফাতুল ইসলাম, তন্ময় গোলদার,মো: হাফিজ হোসেন, সাজ্জাদুল ইসলাম, মো: আমিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন প্রকৌশলীবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা সকলেই জানি জনমিতির হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ একটা সুবর্ণ সময় পার করছে। প্রতি একশত বছরে কোন দেশ একবার এই সুযোগ লাভের সুযোগ পায়। আর তা হলো কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্ভরশীল জনসংখ্যার তুলনায় কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। এই সুবিধা ২০৩৫-৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পাবে। ২০৩৫-২০৩৮ সময়কালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জনগোষ্ঠী হবে কর্মক্ষম এবং নির্ভরশীল জনসংখ্যা হবে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ সরকার সেই কালের ধ্বনি বুঝতে পেরেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় আকৃষ্ট করে তাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ১০০ নম্বরের একটি করে কারিগরি বিষয় বাধ্যতামূলক করে শিক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে সকল মাধ্যমিক ও দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম-১০ম শ্রেনীতে ন্যূনতম ২টি করে টেকনোলজিতে এসএসসি (ভোক) কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কারিগরি শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া কারিগরি শিক্ষার মর্যাদা বৃদ্ধি ও আগ্রহ সৃষ্টির এক মহত উদ্দেশ্য সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর প্রয়াসকে সফল করার উদ্দেশ্যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাহ) কোর্সের সমমানের মর্যাদা প্রদান করার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছেন, যা ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা প্রদান করা হলে আরও ভালো পেশাদার সুযোগে রূপান্তরিত হবে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে সরকার প্রধানের স্মার্ট ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রশিক্ষিত দক্ষ। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ বিভিন্ন সেক্টরে অবকাঠামো উন্নয়ন, উৎপাদন ও শিল্প বিকাশ, পানিসম্পদ ও স্যানিটেশন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, নীতি উন্নয়নসহ প্রকৌশল সমাধানে উদ্ভাবন এবং ব্যবহারিক প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। মোটকথা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান অস্বীকার করা বা উপেক্ষা করা যায় না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*