রাজিয়া সুলতানা :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘোড়া দৌড় দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে এই এলাকায়। গোপালগঞ্জ সহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৪টি ঘোড়া এ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা উপভোগ করতে সকাল থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ মাঠে জড়ো হতে থাকেন।
একসময় দেশের জাতীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গ্রামের মানুষের চিত্ত বিনোদনের সুযোগ করে দিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। কিন্তু শহরের হাওয়া গ্রামে লেগে যাওয়ায় এখন আর তেমন একটা ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখা যায় না। তাই মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামে ৩শ’ একরের গো-চারণভূমিতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়া দৌড়ের আয়োজন করে কুশলী ইউনিয়নের স্থানীয় যুবকরা।
গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, নড়াইল, ফরিদপুর, খুলনা, মাদারীপুর, মাগুরা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ১৪টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ঘোড়ার পিঠে উঠে চাবুক হাতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ঘোড়সওয়াররা। প্রতিযোগতা শেষে বিজয়ীদের দেয়া হয় পুরস্কার।
খেলা শুরু হলে মাঠের চারদিকে হাজারো দর্শকের উচ্ছ্বসিত আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। দর্শকের মুহুর্মুহু করতালি আর চিৎকারে অন্যরকম আনন্দ বয়ে যায়। শিশু যুবক বৃদ্ধসহ খেলা উপভোগ করেন সকল বয়সী নারীরাও। এ যেনো চিরায়ত বাঙালির চিরচেনা মিলনমেলা।
এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতো দেখতে গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার শিশু ও নারীসহ হাজার হাজার দর্শনার্থী পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসে টুঙ্গিপাড়ার কুশলী গ্রামের এই মাঠে। এই সময় সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। উপভোগ করেন ঘোড়দৌড় ও গ্রামীণ মেলা। এছাড়া রাতে মনোজ্ঞ জারি গানের আয়োজন করা হয়। মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য এবং গ্রামীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ রকম ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা যেন প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এমন দাবি জানান দর্শনার্থী।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।
Leave a Reply