রাজিয়া সুলতানা :
গোপালগঞ্জে গোপনে উম্মে সাইয়েদা(২৩) নামে এক নারীকে দাফন করতে গিয়ে সাংবাদিকের হাতে ধরা খেলেন চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: শাহলম ও তার সহযোগি লিওন সাহা ।
রাতেই কবর খুঁড়ে রাখেন সবুর। আজ ভোরে গোপালগঞ্জ পৗরসভার নতুন কবর স্থানে তাকে দাফন করার জন্য গাজীপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জ কবর স্থানে আনা হয় উম্মে সাইয়েদা নামে এক নারীর লাশ।
এ সময় কবর রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান ওই মৃত নারীর আইডি কার্ড অনুযায়ী পরিচয় যানতে চায়। পরিচয় দিতে রাজি হয় না রেলওয়ে অফিসার শাহলম ও লিওন সাহা। তারা কবর থেকে দ্রত লাশ উত্তলন করে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত লেগে থাকায় সন্দেহ হয়। এ সময় কবর রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক শেখ মোস্তফা জামানকে জানান। তিনি দ্রুত ঘটনা স্থলে আসেন।
চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: শাহলমের(৪৭) সাথে কথা হলে তিনি জানান, লিওন সাহা নামে একটি ছেলের মাধ্যমে আমি উম্মে সাইয়েদা(২৩) নামে ওই নারীকে ১১ দিন আগে বিবাহ করি। দুই দিন আগে হটাৎ করে তার মৃত্যু হয়। তাই গাজীপুর থেকে এখানে কিছু লোকের মাধ্যমে আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে দাফন করতে আসি। আমার স্ত্রীর পিতৃ পরিচয় আমি জানি না। সাংবাদিকের সাথে এমন এলোমেলো কথা বলা ও রেলওয়ে অফিসারে সারা শরীলে রক্ত লেগে থাকায় তার সন্দেহ হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা হলে দ্রুত পুলিশ গিয়ে তাকে ও তার সহযোগিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: শাহলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ময়নামতি গ্রামে ও তার সহযোগি লিওন সাহা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামের সুশিল সাহার ছেলে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম জানান, আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে । প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটা একটা হত্যাকান্ড । পোস্টমর্টেম করার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
Leave a Reply